দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরকার জনপ্রতি ১৫ হাজার থেকে ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) সম্পর্কে অংশীজনদের অবহিতকরণ সভায় এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের করোনায় সাধারণ মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। পরীক্ষার জন্য নামমাত্র ফি নির্ধারণ করার পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা ফ্রি করা হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য এই মহামারিকালীন সময়ে সরকার সরকারিভাবে একজন সাধারণ রোগীর জন্য গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ও একজন আইসিইউ ইউনিটে থাকা রোগীর জন্য ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় করেছে। এর ফলে করোনাকালীন মহামারিতে দেশের সাধারণ মানুষ ভীষণ উপকৃত হয়েছে।’
সভায় জাহিদ মালেক বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছে। অন্যরা কেবল ঘরে বসে থেকে সমালোচনা করে গেছে। শত সমালোচনার পরও দেশের স্বাস্থ্যখাত তার কাজ ঠিকভাবেই চালিয়ে গেছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসলে তা মোকাবিলায় সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পূর্বের সকল প্রস্তুতি ধরে রেখে কাজ করা হচ্ছে। ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো যেভাবে করোনার জন্য কাজ করেছে তা অব্যাহত রাখা হবে। চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ চলমান থাকবে। পিপিই দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে তা ভবিষ্যতেও মজুদ থাকবে। এর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোকে প্রচারণা আরও বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে। একই সাথে কোভিড এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতেও অবগত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সরকারি সেবা নিতে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে। খুব দ্রুতই করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।’
সভায় স্বাস্থ্য সেবায় মানুষের ব্যয় কমানো সংক্রান্ত নানা বিষয়াদি নিয়ে বিষয়ে বক্তারা আলোচনা করেন। এতে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।